মস্কো-ওয়াশিংটন গোপন বৈঠক!
আন্তর্জাতিকে ডেস্ক
বিশ্ব যুদ্ধ থামাতে যুক্তরাষ্ট্র গোপন কার্যক্রম শুরু করেছে। গোপনে দুই পরাশক্তি বৈঠক করছে বলে জানা গেছে। রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে আরও বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা কমাতে ঊর্ধ্বতন রুশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান। রোববার (৬ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জ্যাক সুলিভান রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পররাষ্ট্রনীতি সহায়ক ইউরি উশাকভ এবং রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান নিকোলে পাত্রুশেভের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রেখেছেন।
সংশ্লিষ্ট মার্কিন কর্মকর্তারা ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে জানান, ইউক্রেন সংঘাত নিয়ে শান্তি-মীমাংসার পরিবর্তে আলোচনার লক্ষ্য ছিল ‘ঝুঁকি থেকে রক্ষা এবং যোগাযোগের মাধ্যমগুলো খোলা রাখা’। তবে কখন এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে বা সেগুলো ফলপ্রসূ হয়েছে কিনা, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম খোলা রাখার ওপর জোর দিয়েছেন সুলিভান। এর মধ্যেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করতে গত সপ্তাহে কিয়েভ সফর করেন তিনি।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সূত্রগুলো জানিয়েছে, সুলিভান ইউক্রেনে সংঘাত নিয়ে ওয়াশিংটনের নীতিগুলোকে শুধু সমন্বয় করার ক্ষেত্রেই অগ্রণী ভূমিকা রাখেননি, তিনি কূটনৈতিক প্রচেষ্টাতেও জড়িত ছিলেন।
একজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ইউক্রেন যে সংঘাত সমাধানে প্রস্তুত, দেশটির নেতৃত্বকে জনসমক্ষে এমন স্পষ্ট সংকেত দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওয়াশিংটন কিয়েভকে আলোচনার টেবিলে ফিরে আসতে জোর দিচ্ছে না, তবে বিশ্বকে দেখাতে চায় যে তারা যুদ্ধ শেষ করার চেষ্টা করছে।
এর আগে সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে সুলিভান রুশ নেতৃত্বকে সতর্ক করে বলেন, ইউক্রেনে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করলে মস্কোকে বিপর্যয়কর পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সম্প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যদি ইউক্রেনে কৌশলগত পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করেন, তাহলে বিশ্ব পরমাণু যুদ্ধের ঝুঁকির মুখোমুখি হতে পারে।
এছাড়া গত সেপ্টেম্বরে পুতিন বলেছিলেন, ইউক্রেনের কাছ থেকে নেয়া অঞ্চলসহ রাশিয়ার কোনো অঞ্চল ন্যাটো বাহিনীর হুমকির মুখে পড়লে তিনি পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের ঝুঁকি নাকচ করে দিতে পারেন না। রাশিয়াকে ‘ধ্বংস’ করার পরিকল্পনার জন্য ন্যাটোকেও অভিযুক্ত করেন তিনি।